হলিল্যান্ড হজ্জ ট্যুর

বিশ্বাস, দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সমন্বয়ে — নির্ভরযোগ্য হজ্জ ও উমরাহ কাফেলা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার অশেষ কৃপায়, হলিল্যান্ড হজ্জ ট্যুর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই আন্তরিক স্বাগতম। হজ্জ্ব ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলিমের জন্য জীবনে একবার পালন করা ফরজ। তাই কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিক নিয়মে হজ্জ্ব সম্পাদনের মাধ্যমে হজ্জ্বে-মাবরুর অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। যার প্রকৃত প্রতিদান হচ্ছে জান্নাত, ইনশাআল্লাহ।

হজ্জ ও উমরাহ প্যাকেজসমূহ

আমাদের হজ্জ্ব প্যাকেজের বৈশিষ্ট্যসমূহ

হজ্জ্ব/উমরাহ সংক্রান্ত সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন: হজ্বের রুকন কয়টি ও কি কি?

উত্তর : ৩টি, সেগুলো হল:

(১) ইহরাম বাঁধা (অর্থাৎ ইহরামের কাপড় পরে হজ্জের নিয়ত করা।)

(২) ৯ই যিলহজ্জে আরাফাতে অবস্থান করা।

(৩) তাওয়াফ : তাওয়াফে ইফাদা অর্থাৎ তাওয়াফে যিয়ারাহ করা।

উত্তর : নামাযসহ অন্যান্য সকল ইবাদাতের নিয়ত করতে হয় মনে ইচ্ছা পোষণ করে। তবে ইহরামের সময় মুখে শুধু হজ্জ বা উমরা শব্দ উচ্চারণ করতে হয়।

উত্তর : ১টি। সেটি হলো কাবাঘর তাওয়াফ করা। আর উমরার শর্ত হলো ইহরাম বাঁধা। তবে কেউ কেউ বলেছেন উমরার রুকন তিনটি। যথা: (১) ইহরাম বাঁধা। (২) তাওয়াফ করা (৩) সাঈ করা। উল্লেখ্য যে, এ রুকনগুলোই উমরার ফরয।

উত্তর : উমরা বৎসরের যেকোন মাস, যে কোন দিন ও যে কোন রাতে করা যায়। তবে ইমাম আবু হানীফার মতে আরাফাতের দিন, কুরবানীর দিন এবং আইয়ামে তাশরীকের তিন দিন উমরা করা মাকরূহ।

উত্তর : নামাযসহ অন্যান্য সকল ইবাদাতের নিয়ত করতে হয় মনে ইচ্ছা পোষণ করে। তবে ইহরামের সময় মুখে শুধু হজ্জ বা উমরা শব্দ উচ্চারণ করতে হয়।

উত্তর : তালবিয়াহ পাঠ শুরু করবেন, আর তা

(ক) বেশী বেশী পড়বেন।

(খ) উচ্চস্বরে পড়বেন।

(গ) তবে মেয়েরা পড়বে নীচু স্বরে, যাতে সে কেবল নিজে শুনতে পায়।

(ঘ) বেশী বেশী যিকর্ আযকার করতে থাকবে।

(ঙ) কিবলামুখী হয়ে তালবিয়াহ পড়া উত্তম, তাছাড়া উচু থেকে নীচে নামা ও নিচু থেকে উঁচু স্থানে উঠার সময়ও তালবিয়াহ পাঠ করা সুন্নাত।

উত্তর : ইহরামের কাপড় পরার পর যখনই নিয়ত করা শেষ করবেন তখন থেকে তালবিয়াহ পাঠ শুরু করবেন, আর শেষ করবেন হারাম শরীফে পৌঁছে তাওয়াফ শুরুর পূর্বক্ষণে। আর হজ্জের বেলায় ১০ই যিলহজ্জে বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপের পূর্ব পর্যন্ত তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকবেন।

উত্তর : এটি ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ও সাহাবায়ে কিরাম এমনটি করেননি। উলামায়ে কিরাম এটিকে বিদআত বলেছেন। বিশুদ্ধ হলো একাকী নিজে নিজে তালবিয়াহ পাঠ করা।

উত্তর : হাদীসে আছে

(১) তালবিয়াহ পাঠকারীর সাথে তার ডান ও বামের গাছপালা এবং পাথরগুলোও তালবিয়াহ পড়তে থাকে।

(২) তালবিয়াহ পাঠকারীকে আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়।

উত্তর :
হ্যাঁ, দুর্বল নারী ও শিশু এবং অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য অর্ধ রাত্রির পর মুযদালিফা থেকে মিনায় চলে যাওয়া জায়েয হবে। দুর্বল ও অসুস্থদের সাহায্যার্থে তাদের সাথে সুস্থ অভিভাবকরাও যেতে পারবে। এরূপ ওযর ছাড়া মুযদালিফায় ফজর আদায় না করে কারো মিনায় চলে যাওয়া ঠিক হবে না। চলে গেলে দম দিতে হবে।